পানির ভাইসা যাওনের গল্পখান এমুনতরোই…
দেওয়ালের ছোপ ছোপ কালা দাগ পাইকা উইঠা ধানের রঙে মু্ইছা যাওনের জোগাড় করে,
ভাবনাখান এমুন য্যান কচি বীজের ডগায় শুইলে শইলের ক্লান্তি জুড়ায়া যাইব
থাইকা থাইকা উত্তরের উড়াল লাগন বাতাসে দুঃখখান পাইকা টনটন কইরা উঠে
আবার মনরে বুঝাই এ ব্যথা বহুত পুরান, সারনের নয়…
সময়ের ভিইজা যাওয়া গন্ধে বানের পানিরে বড় ডর উজানের
অস্থির হয়া গড়ায়া যায় ঢলের মতোন,
কই, বাপু হে, এ মোরসুমে খানিক বিরাম দ্যাও, অনেক তো হইলো!
কেডা শুনবো কথা! এমুনভাবে ছুট লাগায় য্যান ফিরবো না আর কোনো জন্মেও…
কইয়া যায়,
আশা বেচা-কিনার আলাপ চলতাছে গো খুড়ো,
সীমানার ধার ঘেঁইষা নাকি হাট বসবো
বাড়িত রাখনের জায়গা হইবো তো?
নিজের জইন্য আর দরদ জাইগা উঠে না অহন!
উত্তর না শুইনাই ভাইসা যায়গা ছায়া,
যহন বুঝি সোনারঙে বান জাইগা ওঠে
কচি সবুজ বীজের ডগাগুলান অনবরত ঘোলা পানির মইদ্যে মুখ ভিজায়া নেয়
ভাটির কোনো সাইধ্য নাই সীমানার ওইপারে গিয়া চিক্কুর পাইড়া কয়-
আমগোরে আর কত ভাসাইবা বানের জলে!
সূর্যের ত্যাজেও হাঁফানি ছুঁইয়া যায়,
ভিজা শইলডারে পারে না শুকাইতে
আশা ফুরাইলে ভাটির বানভাঙা পানির মইদ্যে সাঁঝ নাইমা আসে ডরের লাহান
রাইতের চানখান আসমান থেইকা নাইমা
দেওয়াল ফুটা কইরা ঢুইকা পড়ে ঘরের মইদ্যে হঠাৎ
আউশের সোনারঙ আর
আমনের ডাঙর ডগা
সুর তুইলা বিলাপ কইরা ওঠে কৃষাণীর জবানে যাইয়া
চাঁন তারে থামাইতে পারে না আর…